ভাষা বদলি করুন

The Only way to stop any pain in your life is to accept the fact that nothing is yours, nothing was yours, and nothing will ever be yours. They are worldly attachments; given by Allah, belonging to Allah and returning beck to Allah.

April 12, 2020

গাধার গাধা, টাউনি গাধা

।। জাকারিয়া ইছলাম।।

স্কুল জীবন থেকে নেয়া এই গল্পটি, তখন সম্ভবত ক্লাস সিক্স বা সেভেনে পড়ি, গ্রামে বাড়ির পাশের স্কুল, সেই স্কুলে সৌভাগ্যবশত মাথার উপরে টিনের ছাদ থাকলেও চারদিকে দেয়ালের কোন সিস্টেমই ছিলনা। নিখাদ কাঁচা মাটির মেঝেতে বর্ষাকালে ব্যাঙ আর ইয়া মোটা কেঁচো দেখে প্রায় তাহাদেরকে বড়শিতে গাঁথিয়া মৎস শিকার করিবার চিন্তায় মশগুল তাকতাম। তবে পৃষ্ঠদেশে হঠাৎ বেতের শব্দে সেই দীবা স্বপ্নসমূহ ভাঙ্গে যেতে বিলম্ব হতনা। বর্ষাকালে বেশী বৃষ্টির কারনে যখন পানি খানিকটা বাড়িয়ে যেত, তখন স্কুলের ভিতর মাশাআল্লাহ হাঁটু পানি! কলাগাছের বোর (বোর মনে ভেলা) বানিয়ে স্কুলে যাবার সেকি মহোৎসব!! এবং স্কুলের শিক্ষা দীক্ষার অবস্থাও ছিলো তথৈবচ। শিক্ষকদের বেশিরভাগই ছিলেন আন্ডার ম্যাট্রিক। যাহাদের অনেকেই ইংরেজী বানান উচ্চারণের ভয়ে ব্ল্যাক বোর্ডে লিখে দেন। উল্ল্যেখ, গ্রামের অবস্থাপণ্ন যেসকল গৃহস্থরা মিলে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাদের লেখাপড়া জানা সন্তানরাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছিলেন।

একবার স্কুল পরিদর্শনে আসলেন স্কুল ইন্সপেক্টর সহকারী থানা অফিসার কে সঙ্গে নিয়ে সম্ভবত, আগের দিন আমাদের পরিপাটি ক্রিয়া সাজে গুজে অসতে বলা হয়েছিল। পূর্বের ঈদে পাওয়া নতুন কোর্তা ফুলতোলা ট্র্যিঙ্কের সুগভীর কোন থেকে সুগন্ধির সহিত বাহির করে, ভাঁজ ভাঙ্গে, গায়ে লাগিয়ে স্কুলে এসে হাজির হলাম। যথাসময়ে স্কুলে এসে হাজির হলেন মহামান্য স্কুল ইন্সপেক্টর সাহেব। ভয়ে আমাদের সকলের আত্মারার খাঁচা ছেড়ে যাইবার দশা। স্কুল ইন্সপেক্টর সাহেব গম্বীর হয়ে চৌদিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করলেন। তিনি ভালোবাভে লক্ষ্য করলেন আমাদের চাইতে আমাদের শিক্ষকদের অবস্থা অধিকতর শোচনীয়। দরজার পাশে দেয়াল ঘেঁষিয়া দাঁড়িয়ে তাহাঁরা পরস্পরকে পরস্পরের শরীর আড়াল করতে শশব্যাস্ত।

যাই হোক! কাশিয়া গলা পরিষ্কার করিয়া মহামান্য স্কুল ইন্সপেক্টর সাহেব নানাবিধ প্রশ্ন করতে লাগলেন। আমাদের পারর্ফামেন্স লেটার মার্কস প্রাপ্তির কাছাকাছি রকমের খারাপ। কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা তাকলেও, ভয়ে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলিতে লাগলাম। এবং মহামান্য স্কুল ইন্সপেক্টর সাহেব তখন শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করতেছেন যে- তা সঞ্জিব সাহেব, এই ছেলেটা দেখি ভারতের পতাকার  রং কয়টা তাও জানেনা। সামনে স্বাধীনতা দীবস ছেলেটা যদি তা না যানে তাইলে পড়বেন বিরাট ঝামেলায় রংটা একটু বলে দেনতো ওকে। সঞ্জিব স্যার যথারীতি ঘামিয়ে, কাশিয়া, কাপিয়া একাকার। মহামান্য স্কুল ইন্সপেক্টর সাহেব উনার উত্তরের অপেক্ষা না করে বাদ-বাকী ছাত্রের দিকে মনোনিবেশ করলেন। অবশেষে তিনি মুন্নার দিকে দৃষ্টি স্থির করিলেন। পরিপাটি করিয়া আঁচড়ানো চুল, সুন্দর শার্ট, হাতে প্লাস্টিকের কালো বেল্টের ক্যাসিও ঘড়ি। আসলে মুন্নারা টাউনে(শহর) থাকে। পড়াশোনায় ভালো। মুন্নার বাবা টাউনে কি যেন একটা চাকুরী করতেন, তার বাবার ট্রান্সফার হয়েছে গ্রামে, তাই সে গ্রামের স্কুলে পড়ে।

তো, যাই হোক! স্কুলে এখন গোবরে পদ্মফুল, মুন্নাকে দেখে মহামান্য স্কুল ইন্সপেক্টর সাহেবের চক্ষু চমকিয়ে উটল। তিনি কাছে গিয়ে  সুমিষ্ট স্বরে মুন্নাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'বলতো বাবা, পানি কয় অবস্থায় থাকতে পারে? মুন্না সট্যান দাঁড়িয়ে বলিল পানি তিন অবস্থায় থাকিতে পারে, তরল, কঠিন এবং বায়বীয়। মহামান্য স্কুল ইন্সপেক্টার সাহেব আকস্মাৎ থমকিয়ে গেলেন। তিনি কতক্ষন চুপ করে তাকলেন, তার মুখ গম্বীর হয়ে রইল। তিনি হঠাৎ বাংলা কাম ইংলিশ ও বিজ্ঞান শিক্ষক বড়জলাল শ্যারের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এই ছেলেটা কোথায় থেকে এসেছে? এ কি এই স্কুলের ছাত্র?  এ তো দেখি আমার মাথা আউলিয়ে ফেলেছে, বড়জলাল স্যার ছিলেন শিক্ষকদের মধ্যে কিঞ্চিৎ বেশী জানাশোনাওয়ায়ালা লোক। তিনি তার প্রতিভা প্রদ্রর্শনের একটা সুযোগ পেয়ে নিজেকে আর স্থির রাখিত পারলেন না। ঝড়ের গতিতে  আসিয়া মুন্নার কানে ধরে চিৎকার করে বলতে লাগলেন,- আরে গাধার বাচ্ছা গাধা, টাওনে তাকিস জীবনে কোনদিন পানি দেখসিস না! পানি কয়টা অবস্থায় থাকে এই এতো তুচ্চ জিনিসটাও জানিস না, অ্যা? ওই দেখ ঘাধার ঘাধা, বাইরে জমির পানির দিকে তাকিয়ে দেখ। পানি কয়টা অবস্থায় আছে। দেখেছিস? পানি থাকে দুই অবস্থায়। যখন ঢেউ থাকেনা তখন সমান-সমান অবস্থা, মানে সমতল আবস্থা... আর ঢেউ আসলে উঁচানিচা হয়ে যায়-এইটারে বলে আসমতল অবস্থা! বুঝেসস টাউনি ঘাধা! 

মহামান্য ইন্সপেক্টার সাহেব দৌড়ে এসে বড়জলাল স্যারের হাত থেকে মুন্নাকে রক্ষাকরে বলিলেন আপনার প্রতিভায় আমি মুগ্ধ ! বাদ দেন, চলেন, চলেন। সিরিয়ালে মুন্নার পরেই ছিলাম আমি... আমাকে কি প্রশ্ন করা হবে তার ভয়ে কলিজা ধড়ফড় করিয়া লাফাইতেছিল। বড়জলাল স্যারের এমন প্রতিভা আর বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে আমার ধরফরানিরত কলিজা পায়ের আঙ্গুল আই মিন 'টো" পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে গেল। আঃহা, এমন এজকন স্যার যদি প্রত্যেকের ঘরে ঘরে থাকিত!।

উল্লেখ্য, কিছুদিন পর ষাম্মাসিক পরিক্ষা।

পরিক্ষায় উক্ত প্রশ্নটি আসিলো, এবং মুন্না ব্যাতিত আমরা সকলে ওই প্রশ্নের উত্তরে একযোগে লিখিছিলাম পানি দুই অবস্থায় থাকিতে পারে-

১। বাতাস বা ঢেউ না হইলে সমতল অবস্থায়।
২। বাতাস বা ঢেউ ইইলে অসমতল অবস্থায়।

পরিশিষ্টঃ মুন্না নামের টাউনি গাধা ছেলেটি ব্যাতিত আমরা সকলেই উক্ত প্রশ্নের উত্তরের জন্য পূর্ণ নাম্বার পায়েছিলাম। এবং, মুন্নার খাতায় উক্ত প্রশ্নের উত্তরের নিচে লাল কালি দিয়ে বড়জলাল স্যার বড়-বড় অক্ষরে লিখে দিয়েছিলেন- "গাধার গাধা, টাউনি গাধা।"

( সমস্ত গল্প, ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই।কোন অংশ বা পুরো গল্প এবং কোন চরিত্র কোন ব্যক্তি বা কোন ঘটনার সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়। শুকরিয়া।)

March 15, 2020

Yes Bank Crisis


YES BANK/NO BANK

Due to the banking crisis in our country, the YES Bank has collapsed after the PMC bank, Why did this happen? What effect does it have on you and the country’s economy? How can it revive?

Come let us know the entire story in the article. The first thing you need to understand is that in comparison with PMC Bank the crisis of the YES Bank is far bigger; PMC Bank is a cooperative bank. The reputation of cooperative banks is not that high not only is YES Bank a privet bank, it is the fourth private bank of India, There are a lot of companies that depend on the huge privet banks, For example, in the case of YES Bank, there were at least 20 such companies which had YES Bank as the sole banking partner for UPI transactions For example, Phonepe, Bharat Pay, Flipkart, Swiggy and Red Bus infect, 35% of the UPI transactions in the entire country happened through the YES Bank Moreover, the money deposited in this bank. PMC Bank had 11,000crore worth of deposits YES Bank has 2Lakh Crore worth of deposits PMC Bank had around 800 employees YES Bank has 18,000 employees. So, if a bank like this fails, not only will this affect its depositors not only will it affect these companies, but a lot more people will be indirectly affected if their companies and their services are tied up with this bank.



THE FALL OF YES BANK
Our story commences in 2004, when Rana Kapoor and Ashok Kapoor co-jointly set up Yes Bank company 2008 sees the unfortunate death of Ashok Kapoor in the attacks of 26/11, After which there is a legal battle between Ashok Kapoor’s wife and Rana Kapoor as to who would control the appointment of the Board of Directors. But this is not the important thing in the story.

The important thing is that after 2008, it has been alleged that Rana Kapoor, who had been running the YES Bank his behavior entailed aggressively giving loans at high interest rates and he was giving loans to people who had very low chances of repaying them so Rana Kapoor was playing a very high risked game. UBS is a global financial services company it pointed in 2015 that the accelerated growth of YES Bank is happening because they have been giving loans to stressed companies, Stressed companies refer to those companies that have a high risk of non repayment of loans, So by now you may have understood that the major reason behind the crisis of the YES Bank is the same-Bad loans and NPAs Loans are given to people and companies that cannot repay then back and these loans become bad loans/NPAs, The meaning of NPAs is Non Performing Assets if the repayment of anyone’s loans is delayed by 90 days or more, then it becomes an NPA, The NPAs of the YES Bank kept rising gradually and in 2017, the Reserve Bank of India noticed this too and they started monitoring the YES Bank more strictly Infect, not only did the RBI notice the rise of NPAs but they also saw that the YES Bank was concealing its real NPAs that is, it has more resigned All along this, the ratings of the Bank continued to fall down steadily A rating Firm- CARE Rating Firm accorded a very bed rating to YES Bank another reputed firm, Moody’s degraded the outlook of YES Bank from stable to negative, In March, 2019, Ravneet Gill become the new CEO of the Bank, But the problems had grown so much that the YES Bank posted its first ever quarterly loss in April 2019 after which their fell by 30% the next day there NPL ratio reached 8%, I will write about NPL ratio later. LINK

In November 2019, Rana Kapoor sold away almost all his shares of the YES Bank there total value was 142crores, This is despite the fact that year he had tweeted in September 2018 and said- Diamonds are forever, my promoter shares of YES Bank are invaluable to me and he had written in his tweet that he would pass on these shares to his three daughters and their children and I would write in my will and instruct them to never sell these shares. So you can imagine how terrible the situation must be that while he was promising to never sell the shares because they were so valuable, he sold them one year later, Until this event and this point of time, the people who follow the news should have understood that the condition of YES Bank is going to deteriorate when Rana Kapoor sold almost of his shares,
You know the story after this: On 5th March 2020, the RBI took up the entire matter into its own hands, declared a moratorium and placed a restriction that all those who have deposited their money in this bank cannot withdraw more than 50,000 rupees per month, expect in emergency cases After this, the stock of this bank fell and so did the sensex, News came around that SBI might buy this bank. Then the stock of SBI fell, too and on 8th of March, 2020 ED arrested Rana Kapoor under allegations of fraud and money laundering. LINK 



WHO DO DEPOSITOR SUFFER?
How a bank works is very interesting, All the money that is deposited by you in a bank all the money that is deposited by all the depositors in a bank is no collected and kept by the bank at one place, It uses that money to extend loans to other people, This is where the bank earns its profit from So at any point of time, if all the depositors of a bank want to withdraw their money then the bank would not have that amount of money because it used up that money to extend loans to other people, In fact, the requirement of RBI is that it should be 4% or more that is, all the money that is deposited in a bank the bank should have a case reserved of at least 4% of that money so that people can withdraw 4% of the total deposited money this ratio is called the cash reserve ratio And RBI requirement of RBI is that they have to maintain it at 4% or more there is nothing wrong in this, All the banks do the same.
But what generally happens is that whenever a bank extends a loan to someone, they get the repayment of that loan. So overall, there is (a supply of) money. But YES Bank is not the same in the case of YES bank. It gave out loans and the money disappeared so if everyone tries to withdraw money from YES Bank, then there wouldn’t be (enough) money. Furthermore, when a bank is in crisis, then often the people want to withdraw their money in panic this is called a Bank run, In order to avoid this, the RBI puts a restriction that not more than a certain amount of money can be withdrawn at a time because if everyone goes to withdraw their money, there would not be enough of it and it would lead to a bank run, but it also a reverse psychological effect- that if RBI has declared a restriction, the people get convinced that something fishy is happening that is why the RBI is doing this and this is why it is even more important to withdraw money so eventually, this would also lead to a bank run, so it becomes very difficult to decide from the perspective of the RBI on whether they should place this restriction or not.


WHO TOOK THE LOANS?
But let us come to the root cause of the problem. Who were these companies that were given loans and they were not able to pay back?  These companies were Café Coffee Day, DHFL, Cox and Kings, Anil Ambani’s Reliance, Essel Group, In fact, the opposition has alleged that a lot of these companies have a close friendship with PM Modi, for example, Anil Ambani, Subash Chandra, Zee Media Entertainment and in response to this, our Finance Minister, as usual, pointed fingers at the Congress and said that this was the fault of the Congress, and the collapse of the YES Bank happened due to the Congress. But id we look at the reports, we will see that the majority of loans given by the YES Bank were given after 2014, this is visible in the loan book of YES Bank. Then loan book states that loans worth 55,000crore rupees have been given out in 2014, by 2019, these loans increased to 2 lakh 41 thousand crore rupees. So a question that arises here is that despite being under the scrutiny of RBI so many loans were handed out between 2017 and 2019 despite knowing that the condition of the bank is deteriorating and then too, they kept on giving loans to such companies Why So?
Another question that arises is that a month before the declaration of restrictions by the RBI, Adani Company stopped using the YES Bank, One day prior to the declaration of the restrictions by the RBI, Vadodara Smart City Development in Gujarat withdrew 256core rupees from the bank looking at all these raises a question whether the people close to the government know beforehand that the government is going to do this and hence they withdrew their money beforehand? Or was it a mere co incidence?


NPA CRISIS
The government is obviously going to tell you that all is well. But the reality is that the problem of NPAs in our country has risen to such an extent that there is no such major economy in the rest of the world where conditions are so terrible NPL ratio-we did talk about it previously. NPL ratio is non performing loan ratio, that is, how many bed loans are there in a ratio of the total number of loans, In India, this ratio touched 11% last year which is the world’s  worst NPL ratio, There has been some improvement this year but you can see in the internet how in the previous years it continued to rise until this level, The major economies include USA, UK, Germany- the NPL ratio of these countries generally is less than 2%, So, when I previously write in this article that the NPL ratio of YES Bank has reached 8%, then (it shows) that 8% is also a very bad ratio, Furthermore, the NPL ratio is already deplorable, along with it, the recovery rate of India is merely 30% when compared with other countries…
Recovery rate refers to the chances of recovering the money of the bad loans, In India, these chances are a more 30% in the rest of the countries, and the chances are around 80%, so due to these reasons the investors are hesitant to invest in India and these impacts the Indian economy overall.


IS YOUR MONEY SAFE?
Despite all of these things, if your money is deposited in the YES Bank today, so I’d tell you that there is no need to be afraid. Your money is safe and you will get it beck I’m not saying that wit 100% confidence, but 80% confidence that you will get beck your money, I’m saying this because YES Bank is such a huge bank the government cannot afford it to fail under any circumstances, because so many people are dependent on it and if the depositors do not get beck their money then this would cause the depositors to lose their confidence in the banking system, not only of the YES Bank customers but also all the other bank customers. The people would feel their money is not safe in any bank no matter how big the bank is (so they would) withdraw their money and this would cause a bank run not only YES Bank but in banks all over India. The entire banking system will collapse, that is why I’m saying that the government will not let this bank fail under any circumstances and you will get your money beck.


HOW TO SAVE THE BANK?
How will this bank be saved? The government will bail this bank out, That is the government is mounting on the government companies and the government bank SBI to buy this Bank (YES Bank) SBI has already said that it will buy a 49% stake in YES Bank at the cost of 2,450 crore rupees, The rest has not been decided. It is being said that LIC might buy it, It is being expected of the other investors that they would come and buy the rest of the shares of this bank. But the money being invested by SBI in where is this money coming from ? This also raises questions that this money is the taxpayer’s money, The money of tax payers is being used to bail out this bank, It is a debatable question in itself on whether it is right to use the taxpayer’s money and using government money to save the privet companies? The same questions raised in USA in 2008 when the financial crisis of 2008 happened. But right now, no other option is available. If this bank is allowed to fail, then like I said, the trust in the entire banking system would evaporate. Another question that arises is how many times will the government do this? Bank fails again and again and the SBI told to buy them again and again, where will the government get the money from? One thing is pretty clear that government is wishing to collect this money by selling PSUs, for example, recently, the government has showing interest in selling the entire stake of BPCL, A rescue plan has been chalked out by the RBI to save the YES Bank, like I said, SBI will buy 49% of the stakes of this bank and they will try and raise the value of this bank they will try to inculcate the trust and confidence of people in this bank, Due to which its share prices will increase, When the share prices rise, they expect the other investors to come and buy more stakes in this bank Or government is thinking that the LIC will buy it.

January 03, 2020

ইসলাম বনাম আমরা

২০১২ সালে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা, আমাদের প্রথম আমিরুল মুমিনীন হজরত ওমর ইবনে আল খাত্তাবের (রাঃ) জীবনী নিয়ে MBC নেটওয়ার্ক ৩০ পর্বের সিরিয়াল নির্মাণ করেছে। এখন আমার লেখার সাথে যারা যারা পরিচিত, তাঁরা নিশ্চই জানেন যে আমি হজরত উমারকে (রাঃ) কতটা ভালবাসি। শুধু সাহাবীই নন, চার খলিফার মধ্যেও আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব তিনি। জানি সম্মানের দিক দিয়ে আবু বকর (রাঃ) সবার উপরে, তারপরেও উমারের (রাঃ) মধ্যে কিছু একটা আছে যা আমাকে তাঁর দিকে বেশি আকর্ষণ করে। তাঁকে নিয়ে নির্মিত সিরিজ, আমি দেখবো না? সেটা সম্ভব?


সিরিজটি নির্মাণে MBC বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেনি। বৃষ্টির মতন টাকা খরচ করেছে। সেট নির্মাণ থেকে শুরু করে ডিরেকশন, অভিনয়, স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি দেখলেই বুঝবেন আজ পর্যন্ত ইসলামিক কোন সিরিজ বা সিনেমায় এই কোয়ালিটির প্রোডাক্ট কেউ নির্মাণ করতে পারেনি। প্রতিটা ঘটনা অথেন্টিক সোর্স থেকে নেয়া। প্রতিটা দৃশ্যে যত্নের ছাপ স্পষ্ট। প্রতিটা ফ্রেমে প্রফেশনালিজম ও ক্রিয়েটিভিটি ঝকঝক করছে। বিশ্বখ্যাত ইরানি নির্মাতা মাজিজ মাজিদির মুহাম্মদ (সঃ) সিনেমাটিও খুব আগ্রহের সাথেই দেখেছিলাম। নির্মাণশৈলী দেখে আফসোস জেগেছিল এই ভাবে যে এই লোকটির হাতে যদি অথেন্টিক স্ক্রিপ্ট পড়তো, তাহলে কী বিস্ময়কর সিনেমাই না তিনি তৈরী করতে পারতেন! MBC এই ভুলটি করেনি।

অভিনয়, সেট ও নির্মাণ কৌশল এতটাই নিখুঁত যে আমি যেন ফিরে গেলাম সেই সাড়ে চৌদ্দশো বছর আগের প্রবীণ, রুক্ষ, প্রাণহীন শুষ্ক ভূখন্ড মক্কায়। জাহেলিয়াতের চাদরে মোড়ানো অন্ধকার এক পুণ্যভূমি। চোখের সামনে দেখলাম প্রাচীন কাবা ঘর, যার পাশেই আমার প্রিয় নবীর (সঃ) জন্মস্থান। একে একে চোখের সামনে চিত্রিত হলেন আবু বকর(রাঃ), উমার (রাঃ), উসমান(রাঃ), ছোট্ট আলী(রাঃ), হামজা(রাঃ), খালিদ বিন ওয়ালিদ(রাঃ), বিলাল(রাঃ) প্রমুখ সাহাবী! ওহী নাজেলের অন্ধকার কিন্তু মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় ও উজ্জ্বলতম রাত্রি, নীরব দাওয়াত দেয়ার সময়কাল হয়ে ধীরে ধীরে প্রকাশ্য হয়ে উঠতে থাকে আবু লাহাব, আবু জাহেলদের বিরোধিতা। সুমাইয়া, ইয়াসিরের শহীদ হওয়া, বিলালের কাতর কিন্তু দৃঢ় স্বরে পাঠ, "আহাদুন আহাদ!"
নবীর (সঃ) জীবনী যারা পাঠ করেছেন, তাঁরাই সিরিজটি দেখলে বুঝবেন কতটা ডিটেইলে কাজ করা হয়েছে সিরিজে।
আবু সুফিয়ানের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন, তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হবেন।
আমার কাছে সবচেয়ে বেশি যা ভাল লেগেছে তা হচ্ছে কুরআনের আয়াতগুলো। কোন তিলাওয়াত নয়, কোন তাজউইদ নয়, নাটকের সংলাপের মতন পাঠ করা হয়েছে। সেই কনটেক্সটে ফেলে, যে কনটেক্সটে আয়াতগুলো নাজেল হয়েছিল। জীবনে এই প্রথম কুরআনের আয়াত পাঠ শুনে শরীরের সব রোমকূপ দাঁড়িয়ে গেল। মোটেও বাড়িয়ে বলছি না, বাস্তবেই আমার হৃদপিন্ড এমনভাবে কখনই কাঁপেনি। রন্ধ্রে রন্ধ্রে আমি অনুভব করেছি এর প্রতিটা শব্দ। এর আগে কখনই সেভাবে অনুভব করা হয়নি।
জীবনে সেই প্রথম বুঝতে পারলাম কেন ও কিভাবে শতাব্দী প্রাচীন কুরাইশদের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছিল আরবি কিছু শব্দ ও বাক্য। কোন অস্ত্রের ঝনঝনানি নয়, কেবলই কিছু বাক্য! অথচ তা যেকোন অস্ত্রের চেয়ে বহুগুন শক্তিশালী, অতিলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। উমারের (রাঃ) মতন মহাবীর ও কট্টর কুরাইশী কেন সামান্য কয়েক লাইন পড়েই নিজের প্রভুর কাছে মাথানত করে ফেলেছিল সেটা বুঝতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হলো না। এর আগে কোন লেখক এত সুস্পষ্টভাবে আমাকে অন্তত বুঝাতে পারেননি।
কিছু দৃশ্যে চোখ দিয়ে অঝর ধারায় পানি ঝরেছে। কোন বই পড়ে এর আগে কখনই এমনটা হয়নি। আমার নবীর কষ্ট আমি যে চোখের সামনে দেখতে পারছি! আমার নবীর মৃত্যু দৃশ্যে মদিনাবাসীর পাশাপাশি আমার কণ্ঠ থেকেও হাহাকার বেরিয়েছে। দুরুদ পাঠ করে বলেছি, "ইয়া রাসূলাল্লাহ (সঃ)! আমার আল্লাহ সাক্ষী, আমরা আপনাকে পৃথিবীর সবকিছু থেকে বেশি ভালবাসি! আপনাকে যে কাজে আমাদের রব নিয়োগ দিয়েছেন, আপনি সেকাজে ব্যর্থ হননি।"
বলতে দ্বিধা নেই, এই সিরিজ আমার ঈমান তাজা করেছে। এই সিরিজই প্রেরণা যুগিয়েছে নবীজির (সঃ) জীবনী লেখার ব্যাপারে।
এই হচ্ছে আমার অনুভূতি।
এখন কিছু প্রাসঙ্গিক কথা বলবো। মন দিয়ে পড়ুন।
যেদিন থেকে এই সিরিজ প্রচার শুরু হয়েছে, সেই দিন থেকেই গোটা বিশ্ব জুড়েই ইসলামিক স্কলাররা এই সিরিজের বিরোধিতা করেছেন। চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতন ফতোয়া ঝরেছে এই সিরিজ দেখা হারাম! টেলিভিশনের মতন "শয়তানি" মাধ্যমে উমারের (রাঃ) মতন ব্যক্তিত্বের জীবনী উপস্থাপন করে ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে। আরও অনেক কিছুই ছিল সেসব যুক্তির পক্ষে। আমাদের সুন্নি মুসলিম উম্মাহ বহুদিন পর কোন ইস্যুতে একতা প্রকাশ করলো। চোখে পানি আসার মতন উপলক্ষ্য।
সমস্যা ফতোয়ায় নয়। যেসব স্কলাররা ফতোয়া দিয়েছেন, ভ্যালিড রেফারেন্সের ভিত্তিতেই তাঁরা দিয়েছেন। কিন্তু মূল সমস্যা ছিল এই যে এই সিরিজটিই আরব ইতিহাসের সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজের মর্যাদা পেয়েছে। খুব কম আরব আছেন, যারা এই সিরিজ দেখেন নি। বিশ্বজুড়ে আরও কোটি কোটি অনারব মুসলিম এই সিরিজ ডাউনলোড করে, অথবা ইউটিউব বা ডেইলি মোশন বা এইরকমই কোন না কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখেছেন।
তার মানে হচ্ছে, একদিকে আমাদের স্কলাররা যেখানে কোন বিষয়কে হারাম বলছেন, উল্টোদিকে মেজরিটি অফ দ্য পপুলেশন সেই ফতোয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেই কাজটিই করছে। ইতিহাসে মুসলিমরা কখনও কি এমন আচরণ করেছিল? যখন মদ হালাল ছিল, এবং একদিন হঠাৎ করেই নবী (সঃ) ঘোষণা করলেন মদ হারাম, মদিনার রাস্তা শরাবের নহরে ভেসে গিয়েছিল। লোকের বাড়িতে বাড়িতে যা মদ সঞ্চিত ছিল, সবাই সেটা এনে ফেলে দিয়েছেন। এক ব্যক্তি উপস্থিত হলেন নবীর কাছে। বললেন "আমার দায়িত্বে দুইজন এতিম আছেন, যাদের বাবা তাঁদের সব সম্পত্তি মদের পেছনে বিনিয়োগ করেছেন। এখন যদি মদ হারাম হয়ে যায়, তাহলে সব সম্পদ ফেলে দিতে হবে। আমি কী মদগুলো বিক্রি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবো?"
সিচ্যুয়েশনটা অত্যন্ত জটিল। ইসলামে কঠিনভাবে এতিমের সম্পত্তি রক্ষার বিধান চালু আছে। যদি কখনও মদের ব্যাপারে শিথিলতা আনতে হতো, তবে এটিই হবে সেই ঘটনা। কিন্তু নবীর (সঃ) কোন ক্ষমতা নেই আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে যাবার। তিনি সেটাই জানিয়ে দিলেন।
এই ছিল মুসলিমদের আনুগত্য।
আর আজকে আমাদের আলেম উলামারা ফতোয়া জারি করছেন ঠিকই - সেটা পাত্তা দিচ্ছে না কেউই। এই ঘটনাই প্রমান করে আমরা আমাদের স্কলারদের থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি।
কেন হয়েছি জানেন? কারন স্কলাররা বাস্তবতা অনুধাবন করতে চাইছেন না। বাস্তবতা হচ্ছে, আজকে বিশ্বজুড়ে প্রতিটা মুসলমানের বাড়িতে টেলিভিশন আছে। মোবাইল আছে, ইন্টারনেট আছে। চ্যানেল খুললেই টিভিতে ভেসে উঠছে বলিউডের সিনেমা বা হিন্দি/ বাঙলা সিরিয়াল। আরবদের যন্ত্রনা হচ্ছে কোরিয়ান বা চাইনিজ বা অন্যান্য সিরিজ। আছে গেম অফ থ্রোনসের মতন সিরিজ, যা একই সাথে আপনাকে টানটান উত্তেজনা দিবে, একই সাথে পর্নোগ্রাফিও দেখাবে। নাহলে পর্নোগ্রাফিতো আছেই। কোথায় যেন পড়েছিলাম, পর্ন ওয়েবসাইটে ভিজিটিংয়ে আমাদের দেশ অনেক উপরের তালিকায় আছে। আমার, আপনার, ছেলেমেয়েরা যদি না করে থাকে, তাহলে কাদের ছেলেমেয়েরা করছে?
সেই তুলনায় সাধারণ মানুষ দেখছে যে উমার সিরিজটি একটি ভাল সিরিজ। অথেন্টিক সিরিজ। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ব্যক্তিত্বদের একজনের সম্পর্কে অনেক কিছুই অনেক সহজে ও কম সময়ে জেনে যাব, যা হাজার খানেক বই পড়ে জানতে হতো। মুসলিমরা মহানন্দে, নিশ্চিন্ত মনে পুরো পরিবার নিয়ে অনেকদিন পর কোন সিরিজ এইভাবে দেখতে পারলো। সুস্থ বিনোদন। ১০০% হালাল? অবশ্যই নয়। তবে better of two evils? নিঃসন্দেহে।
এখন কিছু ঐতিহাসিক ফ্যাক্ট বলি। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে।
ইসলামিক ইতিহাসে কফি এক সময়ে ব্যান ছিল, জানেন? কফির উৎপত্তি ও বিকাশ আরবদের মাধ্যমেই ঘটেছে এই কথা নিশ্চই জানেন? ইয়েমেনি বণিকেরা আফ্রিকা থেকে কফি এনে অটোম্যান সাম্রাজ্যের বাজারে বিক্রি করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে। এবং এক পর্যায়ে মক্কা মদীনাতেও ঘরে ঘরে ছড়িয়ে যায়।
মেইন স্ট্রিম ইসলামিক স্কলাররা তখন একে হারাম ঘোষণা করেন। কেন? কারন, "কফি খেয়ে মানুষ আড্ডা দেয়, সময়ের অপচয় করে। অপচয়কারী শয়তানের ভাই।"
"সুফীরা কফি খেয়ে রাত জেগে নেচে নেচে ইবাদত করে। তাই এটি বেদাত।"
৯১৭ হিজরীর ২৩সে রবিউল আউয়াল (মার্চ, ১৫১১ খ্রী.) এক বিশ্বখ্যাত আলেম কাবা ঘর তাওয়াফ করার সময়ে দেখেন যে কিছু যুবক কিছু একটা পান করতে করতে মসজিদের কোণে বসে আড্ডা দিচ্ছে। তিনি তাঁদের কাছে এগিয়ে গেলে তাঁরা সেই পানীয় লুকিয়ে ফেলে। আলেমের সন্দেহ হওয়ায় তিনি সেই পানীয় বাজেয়াপ্ত করেন। যুবকদের গ্রেফতার করা হয়। এবং শাফীই, হাম্বলী, মালেকী ও হানাফী মাজহাবের বড় বড় আলেমদের জরুরি সভা ডাকিয়ে তাঁদের বিচার করা হয়। অনেক তর্ক বিতর্কের পরে ঘোষণা দেয়া হয় কফি যেহেতু হারাম, এবং যুবকরা কাবা মসজিদের ভিতর হারাম কাজ করছিল, কাজেই ওদের শাস্তি দেয়া হবে। তাঁদের বেত্রাঘাত করা হয়।
১৫৪৪ সালের দিকে অটোম্যান সম্রাট ঘোষণা দেন কফি হারাম!
পরবর্তীতে ধীরে ধীরে যখন স্কলাররা বুঝতে পারেন কফিতে এমন কিছুই নেই যে কারনে আপনি একে হালাল ঘোষণা করতে পারবেন না, তখন একে হালাল ঘোষণা করা হয়। আজও এরাবিকা বিন্স, বা এরাবিকা কফি অনেক জনপ্রিয় পানীয়। "মোকা" কফির উৎপত্তিও মুসলিম বিশ্বেই। কয়েক বছর আগেও কফির বিজ্ঞাপনে আরবদের প্রতিনিধিত্ব করা হতো।
শুধু কফিই না, প্রিন্টিং প্রেসের ঘটনা কয়জন জানেন জানিনা। সংক্ষেপে বলতে হলে, একটা সময়ে মুসলিম বিশ্বে এটিও হারাম ঘোষণা করা হয়েছিল। জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলিমদের পিছিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারনও ছিল এই যে আমাদের অঞ্চলে কোন প্রিন্টিং প্রেস ছিল না। প্রিন্টেড বই পড়ার অনুমতিও ছিল না। ভাবতে খুবই অবাক লাগে যে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও প্রিন্টিং প্রেস ছিল, অথচ মহাশক্তিশালী অটোম্যান সাম্রাজ্যে তা ছিল না। বিশ্বের প্রথম প্রিন্টেড কোরআন মুসলিমরা বের করেনি। যে কারনে সেটি ছিল ভুলে ভর্তি। ১৮২০-৩০ এর আগে আমাদের কোন প্রিন্টেড বই নেই। আজকে ইসলামী বইমেলা হয়। মক্কায় প্রতি মিনিটে হাজার হাজার কপি কুরআন প্রিন্ট হয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এইসব কথা শুনে অবাক হচ্ছেন?
অবাক হবার আরও বহুকিছু আছে। যখন পুরো পৃথিবী জুড়ে দাসপ্রথা বন্ধ করা হচ্ছে, তখন মুসিম আলেমরা দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন, "যেহেতু ইসলামে দাস প্ৰথা হালাল, তাই আমরা যদি একে বন্ধ করি, তাহলে আমরা কাফির হয়ে যাব!"
কিং ফয়সালের ঘোষণায় সৌদি আরবে দাস প্রথা বন্ধ করা হয় ১৯৬২ সালে, ওমানে ১৯৭০! এর আগে পর্যন্ত বাজারে প্রকাশ্যে দাস দাসী কেনাবেচা হতো। বিশ্বাস হয়?
আজও অনেক আলেম ফতোয়া দেন বাল্যবিবাহের পক্ষ্যে। ভাবটা এমন যেন আমরা কেউ বাল্যবিবাহ না করলে কাফির হয়ে যাব। লুকিয়ে লুকিয়ে আজও দেশের বহুস্থানে ১৮ বছরের নিচের মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে।
কেউ বুঝতে চায় না যে, আমাদের ধর্ম একটি পারফেক্ট ধর্ম। স্বয়ং আল্লাহ এমনভাবে একে ডিজাইন করেছেন যে দাস প্রথা, বাল্য বিবাহ ইত্যাদি বাদ দিয়েও আমাদের ধর্মের ফাউন্ডেশনের কিছুই যায় আসেনা। অথচ আলেম উলামারা একে এমনভাবে বিরোধিতা করেছিলেন যে আজও অমুসলিম এবং ইসলামবিরোধীরা তাঁদেরই ফতোয়া ব্যবহার করে ইসলামকে আক্রমন করে। বর্তমানে পুরো বিশ্বে একটিও আলেম খুঁজে পাওয়া যাবেনা যিনি দাস প্রথা ফিরিয়ে আনার পক্ষে কথা বলবেন। এইটা ফ্যাক্ট।
সৌদিতে রেডিও যখন প্রথম চালু হয়, তখন একদল "উলামা" ঘোষণা দেন, "এটি সিহর" (কালো-জাদু)। নাহলে এইটা কিভাবে সম্ভব যে কেউ একজন অতি দূরে বসে কিছু একটা বলবে, আর সেটা সম্পূর্ণ বিপরীত প্রান্তে বসে শোনা যাবে?
তাঁদের একদল গিয়ে এই কালোজাদু বিনষ্ট করতে রেডিও ট্রান্সমিশন টাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে কুরআন পাঠ করতেন। কিং আব্দুল আজিজ করলেন কি এক সমাবেশে তামাম আলেম উলামাদের ডেকে পাঠালেন। এদিকে রেডিও স্টেশনে বলে দিলেন কুরআন পাঠ করতে। সবাই যখন রেডিওতে কুরআন তেলাওয়াত শুনলেন, তখন তাঁরা মেনে নিলেন এতে কোন কালোজাদু নেই। থাকলে কুরআনের আয়াত এইভাবে শোনা যেত না। তাঁরা রেডিও বিদ্বেষ তুলে নিলেন।
তারপরই এলো টেলিভিশন। চিন্তা করতে পারেন? সৌদি আরবে টেলিভিশন!
ফান্ডামেন্টালিস্টরা টেলিভিশন স্টেশন আক্রমন করলো। লোকজনকে জিম্মি করলো। এদের নেতৃত্বে ছিল সাউদ পরিবারেরই এক সদস্য। কিং ফয়সাল পুলিশ/সেনা পাঠিয়ে সবাইকে উদ্ধার করলেন। তাঁর নিজের ভাতিজা নিজের পাঠানো সেনার গুলিতে নিহত হলেন। একদিন এরই ছোট ভাইয়ের হাতে কিং ফয়সাল নিহত হন।
পয়েন্ট হচ্ছে, টিভিকে যারা হারাম বলেন, তাঁরাই আবার এই টিভির মাধ্যমেই জাকির নায়েকের লেকচার শুনেন। ইসলামিক টেলিভিশন চ্যানেল এখন বহু দেশে জনপ্রিয় চ্যানেল। আরবেতো ইসলামিক ফিকহ আলোচনা হয় ইসলামিক চ্যানেলের মাধ্যমে।
শুধু টিভি কেন, এই কথা কয়জন জানেন যে একটা সময়ে মসজিদে মাইক ব্যবহারও নিষিদ্ধ ছিল? খুব বেশিদিন আগের কথা না। তাঁদের মতবাদ ছিল, এটি ইহুদি খ্রিষ্টানদের আবিষ্কার। আমরা খালি গলায় মুয়াজ্জিনের আজান শুনবো, খালি গলায় ইমামের তেলাওয়াত। নাহলে "বিদআত" হয়ে যাবে। যে মসজিদগুলো থেকে এইসব ফতোয়া বেরিয়েছিল, আজকে সেসব মসজিদেই BOSE - এর মাইক (দামি ব্র্যান্ড) ব্যবহৃত হয়। আজানের সময়ে মাইকের শব্দদূষণ নিয়ে একটা কথা বলে দেখেন, আম জনতা আপনাকে কাফের ট্যাগ দিয়ে ছাড়বে। মাইক ছাড়া ওয়াজ মাহফিল হয়? ৯৯কেউ কল্পনা করতে পারবেন?
আরও অনেক কথা বলার আছে। যেমন, মেসওয়াক ও টুথব্রাশ, যেমন পায়ে হেঁটে হজ্ব পালন নাকি প্লেনে যাতায়াত, যেমন মাটিতে বসে খাওয়া বনাম টেবিল চেয়ারে বসা, যেমন উটের পিঠে চড়া বাদ দিয়ে গাড়িতে চড়া, পুকুরের পানিতে ওযু বনাম টেপের পানিতে ওযু, পাঞ্জাবি পাজামা লুঙ্গি বনাম কোটপ্যান্ট, ঘড়ি দেখে নামাজের সময় নির্ণয় বনাম সূর্যের আলোয় লাঠির ছায়া দেখে.....ইত্যাদি বহুকিছু!
সমস্যা হচ্ছে এই যে, লোকে বলবে আমি পন্ডিতি ফলাতে আসছি। নাহয় "নেক সূরতে মানুষকে গুমরাহ" করার ষড়যন্ত্র করছি। নাহয় বলবে আমি ধর্ম পরিবর্তনের কথা বলছি। আমি কাফির, আমি মুনাফেক, আমি ছদ্মবেশী ইহুদি দালাল এবং আরও ইত্যাদি ইত্যাদি। কথা হচ্ছে, যারা এমন কথা বলেন, তাঁরা নিজেরা কী নিজের ধর্ম সম্পর্কে বিন্দুমাত্র পড়াশোনা করেন? নিজেরা পড়াশোনা করবে না, অন্য কেউ পড়াশোনা করলে জ্বলুনিতে পুড়ে মরবে। এ কেমন মেন্টালিটি?
আল্লাহ ওদের হেদায়েত দিন।
কথা হচ্ছিল উমার (রাঃ) সিরিজ নিয়ে।
এই কথা আপনারা মানেন কি না মানেন, আগামী পঞ্চাশ বা একশো বছরে প্রিন্ট মিডিয়ার স্থান দখল করে নিবে ভিডিও মিডিয়া। লোকে বইয়ের বদলে ডকুমেন্টারি দেখে শিক্ষা নিবে। লিখে রাখতে পারেন, ভবিষ্যতে, সব বিষয়েই আরও বেশি বেশি ডকুমেন্টারি টাইপ ভিডিও তৈরী হবে, যেখানে ভিডিও উপস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রদান করা হবে। এমনকি ইসলামিক দাওয়াতও আজকাল এইভাবে দেয়া হচ্ছে। ইউটিউব ভর্তি এমন ভিডিও। না দেখে থাকলে সার্চ দিন।
মোট কথা, আমাদের স্কলারদের এডুকেটেড হতে হবে। শুধু ধর্মই নয়, সব বিষয়ে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কিভাবে কাজ করে, ইন্টারনেট কী, কিভাবে কাজ করে ইত্যাদি থেকে শুরু করে আধুনিক বিজ্ঞান কোথায় কী বলছে, সব তাঁদের জানতে হবে। "চাঁদে মানুষ গেছে, এই কথা যে বিশ্বাস করবে সে কাফের" - জাতীয় ফতোয়া আজকের যুগে ধোপে টিকবে না। উল্টো আপনার নিজের বিদ্যা বুদ্ধিতে লোকে ইসলাম নিয়ে হাসাহাসি করবে।
তাঁরা আমাদের ধর্মীয় নেতা। যেকোন নেতা তাঁদের অধীনস্থ জনতার গতিবিধি সম্পর্কে যদি খোঁজ খবর না রাখেন, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়ে। দুই লাইন থিওরি অফ এভোলুশন পড়েই ইসলামকে ত্যাগ করতে দেখেছি নিজের চোখে। কার কাছ থেকে সে গাইডেন্স পাবে? আমাদের দেশের আলেমরা যে "এন্টারকোটিক মহাদেশ" থিওরি নিয়ে ব্যস্ত!
মুসলিমদের পথে রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের নেতাদের শিক্ষিত হতে হবে। অগ্রপশ্চাদ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে যেই ভাষা বুঝে, তাঁকে সেই ভাষায় উত্তর দেয়ার মতন জ্ঞান অন্ততঃ থাকতে হবে। বিজ্ঞান মনষ্ক কোন ব্যক্তিকে আপনি যদি "টাইটানিক ডুবেছিল ইহুদি খ্রিষ্টানদের ষড়যন্ত্রে" অথবা "নিউটন, গ্যালিলিও, সবাই ছিলেন চোর" অথবা "আমেরিকার কথা কোরআনে লেখা আছে" টাইপ কথা বলেন, তাহলেতো ভাই সমস্যা।
নবীর জীবনীর উদাহরণ দেই। ওটা দিতে আমার ভাল লাগে।
রেফারেন্স সাইটেশন বলে যারা চিল্লাফাল্লা করেন, তাঁরা দয়া করে ইবনে হিশামের সিরাতুন্নবী পড়ে নিবেন। নাহলে কষ্ট করে গুগলে হাসান ইবনে সাবিত (রাঃ) লিখে সার্চ দিবেন, হাজার হাজার রেফারেন্স পাবেন। সাহাবী হাসান ইবনে সাবেত (রাঃ) ছিলেন একজন কবি। নবী (সঃ) কবিতা রচনা করতে পারতেন না, সেই ক্ষমতা ও প্রতিভা তাঁর ছিল না। কুরআন বলে, "আমি রাসূলকে কবিতা শিখাইনি। এটি তাঁর জন্য শোভনীয় নয়।" তার মানে, কুরআন কী কবিতা চর্চা করতে উদ্বুদ্ধ করে? না।
কিন্তু কবিতা ছিল তখনকার আরবদের নিউজ মিডিয়া, প্রোপাগান্ডা, বিনোদন উৎস, ব্লগিং সাইট ইত্যাদি। শ্লীল, অশ্লীল, আবেগী, প্রতিবাদী, জ্বালাময়ী সব ধরনের কবিতাতেই ওরা ছিল ওস্তাদ! কবিতার কারণেই যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারতো (ওহুদের যুদ্ধের আগে যেমন কাব বিন আশরাফের কবিতা কুরাইশদের তাতিয়ে দিত) আবার কবিতার কারণেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতো (হিলফুল ফুদুল)। কবিতাই ছিল আবেগ প্রকাশের মাধ্যম (হিজরতের পরে বিলাল (রাঃ), আবু বকরের(রাঃ) কবিতায় মক্কাকে হারানোর কষ্ট প্রকাশ পেত), নবীজির মৃত্যুর পরে তাঁকে সম্মান জানিয়ে কতসব ক্লাসিক কবিতা যে রচিত হয়েছে, তার তুলনা নেই। আবার কাব বিন আশরাফের মতন নরপশুর মৃত্যুদণ্ডের বিধানের অন্যতম অভিযোগ ছিল এই যে সে মুসলিম নারীদের নাম উল্লেখ করে, কবিতা লিখে তাঁদের সাথে কিভাবে কি অপকর্ম করতে হবে (চূড়ান্ত অশ্লীল, পর্নোগ্রাফি বলা চলে) ইত্যাদি বর্ণনা করেছিল। গোটা আরব সমাজে সেই সমস্ত মুসলিম নারীদের মান সম্মানের শ্লীলতাহানি করেছিল।
কাজেই, কবিতা রচনাকে যদি আজকের টেলিভিশন ও ইন্টারনেট মিডিয়ার সাথে তুলনা করেন, ভুল হবেনা (ইম্প্যাক্ট সমান বলেই তুলনা করা হচ্ছে)।
আমাদের নবী (সঃ) কবিতা রচনা নিষেধ করেছিলেন? না।
যখন কুরাইশরা তাদের শক্তিশালী কাব্য দিয়ে মুসলিমদের আক্রমন করতো, নবী (সঃ) তখন বলতেন, "কোথায় হাসান? এগিয়ে যাও তোমার কবিতা নিয়ে! আবু বকর ও জিবরাঈল (আঃ) তোমায় সাহায্য করবে!"
হাসান ইবনে সাবেত (রাঃ) তখন কুরাইশদের কবিতার জবাব দিতেন নিজের কাব্য ভাষায়।
হাসান কোন যোদ্ধা ছিলেন না। উল্টো যুদ্ধের নামে তিনি ভীত হতেন। কিন্তু কবিতা লিখে তিনি ইসলামের যে কাজে এসেছেন, আবু বকর, উমার, উসমান, আলী, খালিদ বা কোন সাহাবী সেটা করতে পারেননি। তিনি ছিলেন নবীজির (সঃ) রাজকবি/সভাকবি (অফিশিয়াল পয়েট)। তাঁর মৃত্যুর পরে মসজিদে নববীতে একবার তিনি কবিতা আবৃত্তি করছিলেন, যখন উমার (রাঃ) ছিলেন খলিফা। তিনি এসে হাসানকে তিরস্কার করে বলেন, "তুমি নবীর মসজিদে কবিতা পাঠ করছো?"
হাসান (রাঃ) জবাবে বলেন, "আমি তখনও এই মসজিদে এই কাজ করতাম যখন এই মসজিদের ইমাম তোমার চাইতেও উত্তম লোক ছিলেন (স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সঃ)।
উমার (রাঃ) এরপরে আর কখনই হাসানকে ঘাটাননি।
সবাই আশা করি জানেন, তারপরও কিছু মানুষ ত্যানা প্যাচান বলেই বলছি, এতক্ষন যে কথাগুলো লিখলাম, একটিও আমার মনগড়া কথা নয়। ইসলামে কারোর খেয়াল খুশিমতন কথা বলার অনুমতি নেই।

Chose the better one between two e

সিরিয়াল দেখতে এখানে ক্লিক করুন        সিরিয়াল লিংক

November 09, 2019

Enjoy Your Life

Enjoy Your Life 


This is an exquisite collection of incidents from the life of the Prophet (S), stories from our Islamic Heritage, and thought-provoking anecdotes from the life of the author. The aim of the book is to train the reader to enjoy living his life by practicing various self-development and inter-personal skills. What is so compelling and inspiring about this book is that, in order to highlight the benefit of using social skills, the author draws from the lives of the Prophet (S) and his Companions. if you like to download "Enjoy Your Life Book" please click below download baton  

জীবনকে উপভোগ করুন, বইটি লিখেছেন ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুর রাহমান আল-আরিফী এই বই সম্পর্কে আমি বিশেষ কিছু লিখতে চাইনা, তবে এই বইটি আমার পড়া সেরা একটা বই, আপনি কিভাবে মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করে মানুষের মন জয় করতে পারবেন তার বিস্থারিত এই বই-এ লেখা হইয়েছে আমার বিশ্বাস আপনি এই বইটি পড়লে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। বইটি ডাউনলোড করতে বা পড়তে আপনি নিচে দেয়া ডাউনলোড বটনে ক্লিক করেন


Enjoy Your Life Bangla


Enjoy Your Life English


Enjoy Your Life Urdu



Popular Posts