ভাষা বদলি করুন

The Only way to stop any pain in your life is to accept the fact that nothing is yours, nothing was yours, and nothing will ever be yours. They are worldly attachments; given by Allah, belonging to Allah and returning beck to Allah.

March 15, 2016

পড়াশোনা করুন জ্ঞানের চর্চা করার জন্য

জাকারিয়া ইছলাম

জীবন হলো সেই ছোটবেলার খেলার    চামচে মার্বেল নিয়ে দৌড় দেয়ার মতো। দৌড়ে প্রখম।  হয়ে কোন লাভ নেই যদি চামচ থেকে মার্বেল পড়ে যায়।"

জীবনের ক্ষেত্রে মার্বেল হলো আপনার স্বাস্থ্য ,  মানসিক প্রসান্তি, প্রিয়জনদের সাথে সুসম্পর্ক ....। শুধু চোখ বন্ধ করে আশেপাশের সব বাদ দিয়ে .........পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে ভালো ক্যারিয়ার গড়লেন ........ কিন্তু এই ক্যারিয়ার  গড়তে  গিয়ে  যদি   আপনার    প্রিয়জনদের সাথে   সম্পর্ক  বিচ্ছেদ   বা  সম্পর্কের।  দূরত্ব   সৃষ্টি হল তাহলে কি এই সফলতার কোন মূল্য আছে ......! তদের চরম প্রয়োজনে তারা আপনাকে কাছে পেল না............ তাদের এই কষ্ট কি  পরবর্তীতে হাজার টাকা দিয়ে ঘুচবে না!  একবার মনে দাগ কাটলে সেই দাগ কখনো মুছে না । লাইফে জীবন লক্ষ্যে এমন ভাবে পৌঁছানো উচিত যাতে আপনার সফলতায় সবাই আপনাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে ...এমন সফলতায় কখনো যাওয়া উচিত নয় যার ফলে আপনার কাছের মানুষ গুলো আপনার থেকে দুরে সরে যায় ...! লাইফে কিছু হয়ে কাছের মানুষদের জন্য কিছু করবেন সেইটা অনেক পরের কথা ... ততদিন আপনি বা তারা বেঁচে থাকবে সেই গ্রারান্টি কি...! 
 
আমি বুঝাতে চাচ্ছিঃ- অপনার প্রচেষ্টার মূল্য তখনই থাকবে যখন জীবনের অন্য দিকগুলির মধ্যে থাকবে সুসমন্বয়। অন্যথায় আপনি হয়তো সফল হবেন কিন্তু আপনার সেই উচ্ছাস উত্তেজনা , ভরপুর জীবন মৃত্যুর মতো থিতিয়ে যাবে। জীবনটাকে খুব সিরিয়াসলি নিবেন না কারণ আমরা সবাই এখানে ক্ষণিকের অতিথি।
মাঝে মাঝে কাছের মানুষদের জন্য দু একটা পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়া, কিছু ইন্টারভিউতে সব কিছু গুলিয়ে ফেলা, কাজে ছুটি নেয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া, প্রিয় মানুষদের সাথে অল্পস্বল্প গল্প করা ...জীবনের বাস্তবিক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধি করে ... জীবনকে কালারফুল করে ... সময় নষ্ট করে না ...
জীবন একটাই সেকেন্ড চান্স নাই ... এমন ভাবে সফলতা অর্জন করুন যেন জীবন নিয়ে কোন আফসোস না থাকে...
একটি পড়ালেখায় খুব সিরিয়াস একটা ছেলের জীবনি তুলে ধরলাম
জন্মের দুই-তিন বছর থেকে মাথায় পড়ালেখার একটা চাপ নেওয়া শুরু হয় সেইটা শেষ হয় ২৪ বছর বয়সে
তারপর জবের প্রস্তুতির জন্য শুরু হয় সেখানেও যায় ২-৩ বছর
তারপর নতুন জবের স্টাবল অবস্থায় যেতে চলে যায় ৩-৫ বছর
এর মধ্যে চলে আসে বিয়ের প্রেসার ...
নতুন সংসার গোছাতে চলে যায় ২-৩ বছর
এর পর আসে প্রজন্ম টিকানোর চিন্তা মানে আপনার ছেলের ভালো ভবিষ্যৎ নিচিন্ত করা ...
এইসব করতে করতে আপনার জব থেকে অবসর নেওয়ার সময় চলে আসে ...
এর পর থেকে আপনার অফুরন্ত সময় কিন্তু এই সময় কাকে দিবেন আপনার আগের কাছের মানুষদের ! কিন্তু তখন কি আপনার এই সময় তাদের দরকার হবে!
এইটা জীবন সম্পর্কে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরলাম ...
আমার এই চিন্তাধারা সবার সাথে মিলবে এমন কোন কথা নাই ... !
কারো জীবন দৃষ্টিভঙ্গিতে আঘাত দিয়ে থাকলে ... অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি
নোটঃ- লেখাপড়া হওয়া উচিত আনন্দ এবং উৎসাহময়। জ্ঞানের চর্চা শুধু ডিগ্রী লাভ করে ভালো জব নয়,জ্ঞানের চর্চা করা উচিত যাতে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হয়...পরবর্তী প্রজন্ম যেন আরো একটু পথ এগিয়ে থাকতে পারে।আপনি যদি নতুন কিছু সৃষ্টি করতে না পারেন তাহলে জ্ঞানের অনন্ত চলার পথ এখানেই থেমে যাবে ... তাই সামান্য কিছু হলেও আপনার জ্ঞানের ক্ষেত্রে দিয়ে আসুন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনাকে জ্ঞান চর্চার সব সুযোগ দিচ্ছে আপনার সিজিপিএ এর জন্য নয় আপনার থেকে নতুন কিছু জ্ঞান পাওয়ার জন্য...
ক্লাসরুমে বা পড়ার টেবিলে ছাত্র বা ছাত্রী যেটুকু শিখে তার চাইতে অনেক বেশি শিখে ক্লাসরুমের বাইরে। একজন মানুষের অনেক ধরনের বুদ্ধিমত্তা থাকে। আমরা তার মাঝে শুধু কাগজে-কলমে লেখাপড়ার বুদ্ধিমত্তাটা যাচাই করি। তার যে আরও নানা রকম বুদ্ধিমত্তা আছে সেগুলোর খোঁজ নিই না।

No comments:

Popular Posts