ভাষা বদলি করুন

The Only way to stop any pain in your life is to accept the fact that nothing is yours, nothing was yours, and nothing will ever be yours. They are worldly attachments; given by Allah, belonging to Allah and returning beck to Allah.

May 31, 2016

হযরত আবুবকর (রাঃ) জীবনের স্মরণীয় ও শিক্ষণীয় কিছু ঘটনা

হযরত আবুবকর (রাঃ) জীবনের স্মরণীয় ও শিক্ষণীয় কিছু ঘটনা ...  পড়ে দেখুন ভালো লাগবে এবং কিছু ভালো জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন ...
নবীদের পর উম্মতকুলে সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা সর্বোচ্চ বলেই বিবেচিত হয়। আর সেই সাহাবিদের মধ্যে যাঁর নাম অগ্রগণ্য, তিনি হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)। তিনি মক্কার বিখ্যাত কোরাইশ বংশের বনু তাইম গোত্রে ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামের প্রথম খলিফা এবং ইসলাম গ্রহণকারী তৃতীয় ব্যক্তি। তাঁর বাল্য নাম আবদুল্লাহ ও ডাকনাম আবু বকর। সিদ্দিক হচ্ছে তাঁর উপাধি। মিরাজের ঘটনাকে সর্বপ্রথম মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছিলেন বলেই রাসুল (সাঃ) তাঁকে এই উপাধিতে ভূষিত করেন।

স্মরণীয় ঘটনা ১:
-------
তাবুক অভিযানে তিনি ছিলেন মুসলিম বাহিনীর পতাকাবাহী।এ অভিযানের সময় রাসুলাল্লাহ (সা),র এর আহবানে সাড়া দিয়ে বাড়িতে যা কিছু অর্থ-সম্পদ ছিল সবই তিনি রাসুলাল্লাহ (সা),র হাতে তুলে দেন। আল্লাহ’র রাসুল জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আবু বকর ছেলে মেয়েদের জন্য বাড়িতে কিছু রেখেছো কি ? জবাবে আবু বকর বললেনঃ তাদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই যথেষ্ট।

স্মরণীয় ঘটনা ৩:
------------------
রাসুলাল্লাহ (সা) মুখে মি’রাজের কথা অনেকেই যখন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝখানে দোল খাচ্ছিল,তখন তিনি দ্বিধাহীন চিত্তে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। হযরত হাসান (রা) বলেনঃ মি’রাজের কথা বহু সংখ্যক মুসলমান ইসলাম ত্যাগ করে। লোকে আবু বকরের কাছে গিয়ে বলেঃ আবু ব্কর তোমার বন্ধুকে তুমি বিশ্বাস কর? সে বলেছে, সে নাকি গতরাতে বাইতুল মাকদাসে গিয়েছে, সেখানে সে নামায পড়েছে, অতঃপর মক্কায় ফিরে এসেছে।

আবু বকর বললেনঃ তোমরা কি তাঁকে বিশ্বাস কর? তারা বললঃ হ্যাঁ, ঐতো মসজিদে বসে লোকজনকে এ কথাই বলেছে। আবু বকর বললেনঃ আল্লাহর কসম, তিনি যদি এ কথাই বলে থাকেন তাহলে সত্য কথাই বলেছেন। এতে অবাক হাওয়ার কি দেখলে? তিনি তো আমাকে বলে থাকেন,তাঁর কাছে আল্লাহর কাজ থেকে ওহী আসে। আকাশ থেকে ওহী আসে মাত্র এক মুহূর্তের মধ্যে। তাঁর সে কথাও আমি বিশ্বাস করি। তোমার যে ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছো এটা তাঁর চেয়েও বিস্ময়কর। তারপর তিনি রাসুলাল্লাহ (সা) কাছে গিয়ে হাজির হলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর নবী, আপনি কি জনগনকে বলেছেন যে, আপনি গত রাতে বাইতুল মাকদাস ভ্রমন করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আবু বকর বললেনঃ আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসূল। রাসুলাল্লাহ (সা) বললেলঃ হে আবু বকর, তুমি সিদ্দিক। এভাবে আবু বকর “সিদ্দিক” উপাধিতে ভুষিত হন।

স্মরণীয় ঘটনা ৪:
----------------
রাবীয়া আসলামী (রাঃ) বলেন, একবার হযরত আবু বকর (রাঃ) ও আমার মধ্যে কোন বিষয়ে মত-পার্থক্য দেখা দিলে কিছু তর্ক-বিতর্কে তিনি কটু কথা বললে আমি আন্তরিকভাবেই ব্যথিত হলাম। তিনি সাথে সাথেই তা উপলব্ধি করে আমাকে বললেন, তুমিও আমাকে অনুরুপ কথা বলে প্রতিশোধ নাও। আমি এরুপ প্রতিশোধ নিতে অস্বীকার করলে তিনি বললেন, আমি রাসুল (সাঃ) এর দরবারে গিয়ে নালিশ করব। আমি তাতে অস্বীকৃতি জানালাম। তিনি চলে গেলেন। এমন সময় বনী আসলামের লোকজন এসে বলল, এ কেমন কথা; তিনিই অন্যায় করে আবার তিনিই রাসুল (সাঃ) এর কাছে নালিশ করতে গেলেন। আমি বললাম, ইনি আবু বরক সিদ্দীক (রাঃ)। তিনি আমার উপর অসন্তুষ্ট হলে আমার ধ্বংস অনিবার্য।

এরপর রাসুল (সাঃ) এর খিদমতে আমি হাযির হয়ে পুরো ঘটনা বর্ননা করলে তিনি (সাঃ) বললেন, তুমি ঠিকই করেছ। কখনো প্রতিশোধমূলক উত্তর দেওয়া উচিত নয়। তবে এভাবে বলে দাও, হে আবু বকর! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন। সত্যিকার আল্লাহভীতি একেই বলে। একটা কথার জন্য এত চিন্তা। আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মত লোক হঠাৎ একটি মাত্র কটু কথা বলে একজনের মনে কষ্ট দিয়েছেন। কিন্তু এ কথার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তার কত চিন্তা, কত চেষ্টা। প্রথমে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য অনুরোধ করলেন, প্রতিশোধ না নিলে তার বিরুদ্ধে রাসুল (সাঃ) এর নিকট নালিশ করবেন এই ধরনের কথা বললেন অর্থাৎ যে করেই হোক নিজের ত্রুটির জন্য আল্লাহর বান্দা থেকে ক্ষমা লাভ করতে হবে।

No comments:

Popular Posts