ভাষা বদলি করুন

The Only way to stop any pain in your life is to accept the fact that nothing is yours, nothing was yours, and nothing will ever be yours. They are worldly attachments; given by Allah, belonging to Allah and returning beck to Allah.

May 31, 2016

একটি শিক্ষামূলক কাহিনী

একটি শিক্ষামূলক কাহিনী ... পড়ে দেখুন ভালো লাগবে ...।
আতা বিন আবি রাবাহ রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. আমাকে বললেন, “আমি কি তোমাকে জান্নাতের একজন নারীকে দেখাবো? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, “এই কালোমহিলাটি একদিন রাসুলুল্লাহ সা. এর কাছে এসে বললো, আমার মৃগী রোগ আছে এবং অজ্ঞান অবস্থায় আমার গায়ে কোনো কাপড় থাকেনা। দয়া করে আমার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। রাসুলুল্লাহ সা. তাকে বললেন, তুমি যদি চাও এই রোগের ব্যাপারে ধৈর্য ধরতে তাহলে এটা তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে, আর তুমি যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করবো। মহিলাটি বললো, তাহলে আমি এই রোগের ব্যাপারে ধৈর্য ধরবো। কিন্তু অজ্ঞান অবস্থায় আমার গায়ে কোনো কাপড় থাকেনা। আমার জন্য দুআ করুন, যাতে এইরকম না হয়। তখন রাসুলুল্লাহ সা. সেই দুআ করলেন (যাতে করে তার গা থেকে কাপড় সড়ে না যায়)। [সহিহ আল-বুখারি ৭:৫৫৫]

ব্যাখ্যাঃ
এই মহিলা খুব বুদ্ধিমান ছিলেন। কারণ রাসুলুল্লাহ সা. তাকে অপশন দিয়েছিলেন, হয় এইভাবে রোগে কষ্ট ভোগ করে ধৈর্য ধারণ করবে আর এর প্রতিদান হিসেবে জান্নাতে যাবে। অথবা, রাসুলুল্লাহ সা. তার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করবেন। তখন সে ভালো ঠিকই হবে; কিন্তু তার জান্নাতে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে। মহিলাটি বুদ্ধিমান এইজন্য যে তিনি যদিও অপছন্দনীয় ও কষ্টদায়ক একটা রোগ বেঁছে নিলেন, কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করে জান্নাতে যাওয়ার সুযোগটাকে হাত ছাড়া করলেননা। আর এইজন্য সাহাবিদের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী একজন সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. তার ছাত্রকে “জান্নাতি নারী” হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।

আমাদের জন্য শিক্ষাঃ
আমাদের জীবনে অনেক সময় দুঃখ কষ্ট আসে। আমরা যা চাই অনেক সময় হয় ঠিক তার উলটা। আর তখন আমরা বলা শুরু করি, আমার কপাল ভালোনা, ভাগ্যটাই খারাপ…
না, এই কথা মোটেই ঠিক না।
কারো ভাগ্য ভালো তখন হবে যখন আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, আর কারো ভাগ্য খারাপ তখন হবে যখন সে জাহান্নামে যাবে।
আর দুনিয়ার জীবনে ভালো মন্দ সবকিছুই হচ্ছে পরীক্ষা। এইগুলো হচ্ছে পরীক্ষার প্রশ্ন। এর বিপরীত আপনি কী আমল করছেন তার অনুপাতে কেয়ামতের দিন রেজাল্ট দেয়া হবে। আর তখন কে ভাগ্যবান আর কে হতভাগ্য নির্ধারিত হবে।
এমনও হতে পারে, দুনিয়ার জীবনে আপনি একটা জিনিস পছন্দ করছেন না, অথচ এটাই আপনার জন্য কল্যাণকর কিন্তু এখন আপনি সেটা বুঝতে পারছেন না। যেমন উপরের হাদিসে বর্ণিত মহিলার ঘটনাটি। কেয়ামতের দিন হয়তো বুঝতে পারবেন সেটা আপনার জন্য কতো কল্যাণ নিয়ে এসেছে।
আবার, এমনও হতে পারে আপনি যেটাকে ভালো মনে করছেন সেটা আপনার জন্য আরো বিপদজনক।
এই জন্যই হাদিসে বলা হয়েছে, “কামনা বাসনা দ্বারা জাহান্নামকে ঢেকে রাখা হয়েছে, আর কষ্ট ও বিপদ-আপদ দিয়ে জান্নাতকে ঢেকে রাখা হয়েছে”। [সহিহ আল-বুখারি : ৬৪৮৭]
হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে কেয়ামতের দিন মহাসাফল্য দান করো, আমিন।

No comments:

Popular Posts