দুনিয়ায় আমাদের জীবন শুরু হয় নিজের কান্না দিয়ে,আর শেষ হয় অন্যের কান্না দিয়ে।
আমি নিজেই জানিনা আছকে আমার জন্মদিন একটু আগে একটা মেসেজ আসল। ব্যংক তেকে তাই জানতে পারলাম আমার জন্মদিন।
Dear Customer, State Bank of India wishes you a Very Happy Birthday and a Great Year ahead!
দুইদিন আগেই বসে বসে ভাবছিলাম কেন এই পৃতীবিতে এসেছিলাম আগে যদি জানতাম যে সৃষ্টিকর্তা আমার জীবনটা এইরকম ভাবে তৈরি করবে,তাহলে সৃষ্টিকর্তার কাছে
জন্মের আগেই মৃত্যু ছেয়ে নিতাম. আছকে মেসেজ টা দেখে মনে হল এখনও বেচে আছি, ভাল আছি।
আসলে ভাল আছি তা মাঝে মাঝে ভাবতেও ভাল লাগে।
কালের অথৈ গহ্ববরে নিমজ্জিত হওয়া বেশ কয়েক বছর আগের এমনি একটি দিনে আমি পৃথিবীর আলো বাতাস প্রথম স্পর্শ করি। নিশ্চয় সেই দিনের জন্ম ক্ষণে আমি গলা ফাটিয়ে কান্না করেছিলাম আর আমার জন্মদাত্রী-জন্মদাতা দ্বয় আমার কান্নাকে উপেক্ষা করে হাসি মুখে পরমানন্দে আমার ভবিষ্যত লক্ষ্য নির্ধারণে ছিলেন অতি ব্যস্ত। আমার মুখে কান্না ছাড়া আর কোন ভাষা ছিলোনা। ছলছল চোখে হয়ত দেখেছিলাম চারপাশটাকে আর অবাক দৃষ্টিতে সব কিছু পরখ করতে করতে আবার হয়ত কান্না, কান্নাই যে তখন একমাত্র ভাষা। আমার বাবা-মা আমার কান্নাকে হয়ত আমার ক্ষুধার্তের সংকেত হিসেবে ধরে নিয়েছিলো তাই কোন খাবার আমার জন্য যুতসই সেটাই খুঁজতে কিংবা যোগাড় করতে তাঁরা ছিলেন মরিয়া অথচ তাঁরা কেউই প্রশ্ন করেনি আমার কান্নার পেছনে কি রহস্য প্রোতিত ছিলো !
আমি হয়ত সেদিন কেঁদেছিলাম এই ভেবে আমাকে যে পৃথিবীতে স্থানান্তর করা হলো তা আমার জন্য মোটেই বাস যোগ্য নয়, আমিতো আমার পূর্ববর্ত্তী স্থানেই ভালো ছিলাম। কোন অপরাধে আমাকে জোর করে তোমরা এই বীভৎস পৃথিবীতে ডেকে আনলে ?
এই বিশাল প্রশ্নের ভার সইতে না পেরে হয়তো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম আর সবাই ভাবলো এই বুঝি ক্ষুধা মিটেছে !এই হোল আমার জন্মের স্বরনীয় দিন.........
যাই হোক আনেক আজাইরা কথা কইলাম ...
এখন কাঁদতে ইচ্ছে করছে জীবন তেকে একটা বৎসর চলে গেল কোন ভালু কাজ করতে পারলাম না।
No comments:
Post a Comment