বাজারে স্বামী স্ত্রী সম্বন্ধে নানারকম কথা এবং জোকস চালু আছে যাতে মনে হয় বউরা ভীষণ ভয়ঙ্কর প্রাণী এবং পুরূষরা বিয়ে করার সাথে সাথেই তাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলে। মেয়েরা সংসারের হাল না ধরলে ছেলেরা হারিয়ে যাবে। ওঁনারা সংসারটা গুছিয়ে করেন বলেই ছেলেরা সংসারের দিকে না তাকিয়ে নিশ্চিন্ত মনে বাইরের কাজ করতে পারেন। মনে রাখবে সংসারটা কিন্তু একার নয়। দুজনেরই। তাই Family Bonding টা ভীষণ জরুরী। এটা তখনই সম্ভব, যখন স্বামী-স্ত্রী দুজনে দুজনার বন্ধু হবেন। আপনার শরীর খারাপ হলে স্ত্রী কে যেমন দোকান বাজার করতে হবে, তেমন আপনার স্ত্রীর শরীর খারাপ হলে আপনাকেও রান্না করতে বা বাসন মাজতে বা কাপড় কাচতে হবে। এটাই Family Bonding ।
আপনার স্ত্রীর প্রতিটি দিন একই রকম। সপ্তাহ আসে, সপ্তাহ যায়। একঘেয়েমিতে তিনি ভীষণ ক্লান্ত। তাকে সন্তান প্রতিপালন করতে হয়, সংসার সামলাতে হয়, তারপর আবার আপনার প্রয়োজন মেটাতে হয়, আপনার মন রক্ষা করতে হয়।
প্রতিদিন এমনটি করতে হবে ভাবতেই তো কোথাও পালিয়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করবে পুরুষদের টিক কি না?
ভেবে দেখুন যে কোন সাধারণ মুসলিমা স্ত্রীর কেমন অনুভূতি হয়। আর কর্মরত নারীদের কথা ভুলে গেলে হবে না। অনেক নারীকে সারাদিন চাকরি করে এসেও সংসার সামলাতে হয়।
ভাববেন না আমি জ্ঞ্যান দিচ্ছি। ইটা আমার একটা ইতিবাচক চিন্তা ভেবে মেনে নিতে পারেন। আসলেই আমি জ্ঞান শোন্য মানুষ। তবে হয়তো এরকম করলে অনেক ভালো সুখী পরিবার আপনি উপহার পেতে পারেন। বন্ধু বান্ধব এ নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে পারে, স্ত্রৈন বলবে, কিন্তু আপনার সংসার আপনাকেই বুঝতে হবে।
প্রত্যেকটা মানুষ তার জীবনে একসময় ভালোবাসার কাঙ্গাল তাকে তাই বলি বিয়ের পরে খুবই ভালোবাসা দিতে এবং নিতে পারবেন।
কাজেই ভাইয়েরা আমার, হাতজোড়করে আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনার স্ত্রী কে সেই অনুভূতিটি উপহার দিন যে – তিনি বিশেষ একজন,আপনার প্রয়োজন, তাকে ছাড়া চলবেনা। তাকে একটু একঘেয়েমি থেকে ছুটিদিন।তাকে মাঝে মাঝে বাইরে খেতে নিয়ে যান। অথবা তার জন্য তার প্রিয় খাবারটি বাইরে থেকে কিনে আনুন। অথবা তাকে নিয়ে এমনিই কোথাও বেড়িয়ে আসুন।কিছু একটা অন্তত প্রায়ই করুন, তার একঘেয়েমির বন্দিদশা ভেঙ্গে দূর করে দিন তাকে রিদয় দিয়ে ভালবাসুন।
জ্ঞান শোন্য মানুষ আমি তার পরেও এতগুলো কথা বললাম, দ্বিমত হলে কিছু মনে করবেন না। আমায় ক্ষমা করবেন।
No comments:
Post a Comment