মেয়ে/মেয়েদের_জীবননারী, আল্লাহর এক রহমতের নাম।স্বয়ং প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মদ (সাঃ) কন্যারই বাবা ছিলেন।নারীদের জন্য আর কি কোন সুখকর দৃষ্টান্ত লাগে?
নারী জাতি কখনো কারো জন্য বোঝা নয়,আশীর্বাদ।বাবার সংসারে এরা বেশিদিন থাকেনা।যতদিন থাকে আকুল হয়ে থাকে কোন এক মায়াভরা ডাকের প্রতি।
কখন মা ডেকে বলবেন "আয়তো মা চুলোয় আগুন ধরাই,ঘরটা একটু মুচবো,থালাবাসনগুলো ধুয়ে নে"।
কখন বাবা ডেকে বলবে "কই গেলি মা,বাবাকে একটু পানি গরম করে দিসতো, জামাগুলো নোংরা হয়ে গেছে একটু ধুয়ে দে"।
কখন ছোট কিংবা বড় ভাই এসে বলবে "খুবই ক্লান্ত ভাতটা একটু বেড়ে দে।কাল সকালে স্কুলে যাবো জুতোটা একটু রং করে দিবি আপু"?
কখন ছোট বোনটা এসে বলবে "দিদি কাল সুন্দর একটা খেলনা দেখেছি ,আমাকে কিনে দিবি? আমাকে গোসল করিয়ে দাওনা দিদি।তুমি না খাইয়ে দিলে খাবোনা"।
এতগুলো হুকুম একটা মানুষকে ঘিরেই। আর হুকুমের অপেক্ষারত এই মানুষটা আত্বতৃপ্তি নিয়ে প্রতিটা কাজই এক পলকে করে ফেলে।
এই মানুষটি কখনো বাবার সংসারের বোঝা নয়।এই হল আদর্শ কন্যা।
বাবার সংসার ছেড়ে স্বামীর সংসারে আগমন।
আকুল হয়ে থাকে এখানেও ঠিক বাবার সংসারের মত।
কখন স্বামী এসে বলবে "ওগো শুনছো কাল ভোরে অফিস যাবো,নাস্তাটা একটু তাড়াতাড়ি করো।শুনোনা জামাগুলো একটু ধুয়ে দিও।চলনা আজ সারাদিন বাইরে ঘুরবো।কাল আমার বেশ কিছু ফ্রেন্ড আসবে,একটু রান্নার ব্যবস্থা করো,বাথরুমটা নোংরা দেখো না?আর বাসাটা একটু মুছে রেখো। এই শুনোনা টাইটা একটু পরিয়ে দাও"।
কখন শ্বাশুড়ী এসে বলবে "বৌমা শরীরটা ভালো লাগছে না একটু টিপে দাওতো।এক পাতিল গরম পানি করো।কাপড়গুলো বাথরুমে রেখে এসেছি,একটু ধুয়ে দিও বৌমা"।
স্বামীর সংসারে স্বামী শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ছাড়াও থাকে দেবর,বাসুর আর জা।এদের হুকুমগুলোও কম না।আর সংসারের বড় বউ হলে সমস্ত বোঝাই হাসি মুখে বহে যায় এই একটা মানুষই। এই হলো নারী।
অতঃপর সন্তানের মা!ওত পেতে থাকে সন্তানের প্রতিটি নিঃশ্বাসে।অপেক্ষায় থাকে কখন সন্তানের মাঝে কোনরুপ ভিন্নতা পরিলক্ষীত হয়।আর অমনি ঝাঁপিয়ে পড়বে সমাধানে।খেয়াল রাখে কখন প্রস্রাবে জামাটা ভরিয়ে পেলে।আর তাৎক্ষনিক তা পরিবর্তন করবেন।সন্তানের পায়খানা কিংবা বমি মায়ের কাছে নোংরা কিছু না।সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা কিংবা টান প্রকাশের কালি আজো সৃষ্টি হয়নি"।
শেষ বয়সে এসে উনি একজন শ্বাশুড়ী। "অপেক্ষায় থাকেন কখন মেয়ে জামাই কিংবা ছেলেবৌয়ের মেহেমানদের সমাদার করবেন। এরা থাকে ছেলে কিংবা মেয়ের মত হয়ে।শত ঝামেলার মাঝেও টিকিয়ে রাখেন সংসারটাকে।এটা যে তার স্বামীর হাতে গড়া"।উনিই হলেন একজন নারী।
এতকিছুর পর এটাই স্পষ্ট পদতলে জান্নাত বহনকারিনী কখনো কোথাও বোঝা নয়।এক একজন আদর্শ নারী এক একটি রহমত।এক একটি আশীর্বাদ।
নারীর বেশভূষা নিয়ে জন্মালেই আদর্শ নারী হওয়া যায়না।আদর্শ নারী সেই, যে দায়িত্বভারী, নম্র ,ভদ্র।আদর্শ নারী কখনো মিথ্যাবাদী, ধোঁকাবাজ ,ছলনাময়ী কিংবা প্রতারনাকারী হতে পারেনা।মিনতি করে বলছি "নিজেকে সামলে রাখুন,আল্লাহও আপনাকে হেফাজতে রাখবেন"।
আমার লেখা এই নারী স্বাভাবিক মায়ার বন্ধনে বেড়ে উঠা,প্রকৃতিপ্রদত্ত নিয়মে বেঁচে একজন নারী।
No comments:
Post a Comment