সবাই বেঁচে থাকতে চায়। কারণ বেঁচে থাকার আনন্দটা অন্যরকম।কিন্তু চাইলেও কি বেঁচে থাকা যায়। মরতে তো হবেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কখন কিভাবে? অভাগার এই দেশে কে কখন কিভাবে মারা যাবে তারও তো নিশ্চয়তা নেই।
তবে আমি আরো অন্তত ২০ বছর বাঁচতে চাই। আমার মনে হয়, এই পৃথিবীকে দেওয়ার আরো অনেক কিছু আছে আমার। আছে এই দেশকে দেওয়ার। এমন কিছু একটা করতো হবে, যাতে পৃথিবীর সবাই মনে রাখে। তাই আরো দুই দশক সময় চাই। কিন্তু চাইলেই কি হবে? জানি না। মৃত্যু নিয়ে আমার আরেকটি কামণা হলো আমি অসুস্থ্য অক্ষম হয়ে মরতে চাই না। অন্য কারো ওপর নির্ভর করার আগেই হাসপাতালে এক মুহুর্ত না থেকেও আমি মরতে চাই। আর আমি আমার মৃত্যুটাকে স্মরনীয় করতে চাই। স্বাভাবিক মরন আমি চাই না। আমি নুর হোসেনের মতো দেশের জন্য গুলি খেয়ে কিংবা কোন প্রতিবাদ করতে গিয়ে মরতে চাই। সবাই যেন এই মরনকে মনে রাখে। মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে মরতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো।
যাই হোক, আমরা বেশির ভাগ মানুষই মরে যাই পৃথিবীকে, দেশকে কিছু না দিয়ে। আমার ভাগ্যে যেন সেটা না হয়। আমি যেন এই দেশ, এই পৃথিবীকে কিছু দিয়ে মরতে পারি। আমার বেঁচে থাকা যেন স্বার্থক হয়। স্বার্থখ যেন হয় আমার মরণও।
আমার মনে হয়, মরে যেতে হবে এই ভাবনটা মাথায় থাকলে অনেক খারাপ কাজ এড়িয়ে চলা সম্ভব। মানবিক হওয়া সম্ভব। আজকের এই যুগে মানবিকতা নামে যে একটা গুন, পরের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে গুন সেটি তো আমরা প্রায় হারতেই বসেছি। চলে যাওয়ার কথা ভাবলে হয়তো সেটা উদ্ধার করা সম্ভব। আবার পাল্টা যুক্তিও দেওয়া যায়, মারা যাওয়ার কথা সারাক্ষন ভাবলে, বেঁচে থাকাই সম্ভব না। দুটোই হয়তো সত্য।
No comments:
Post a Comment