জনাব মোদী সরকার
শ্রদ্ধার সহিত আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এবং সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি "জাকারিয়া ইছলাম" উত্তর পুর্ব ভারতের আসাম থেকে আপনার কাছে বিবেচনার আরজি জানাচ্ছি। সাথে আপনাকেও সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান করছি। আপনার উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে অন্ধ ধর্ম গোড়ামীর সংখ্যা বেশী স্থায় পেয়েছে বলে মনে করেই এই পত্র লেখার মনস্থ করেছি। আমি ক্ষীন আশা নিয়েই এই পত্র আপনার বরাবরে লিখছি যদি আপনার সামনে পৌছায় কোন মিডিয়ার বদৌলতে এবং আপনার বিবেক চিন্তা আদিষ্ট হয়সেই আশায়। সনাতন ধর্মই যদি আপনার হিন্দু ধর্ম হয়ে থাকে তবে ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট শ্রীমদ্ ভগবদগীতা সুলভ সংস্করণ পঞ্চম সংস্করণের ২০ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে “বিভিন্ন দেব-দেবীর পুজা করাবা তাদের সেবা করা ভগবদ গীতাতে অনুমোদন করা হয়নি।” হিন্দু ধর্মের এ্ই কিতাব আমি যেহেতু সঠিকই বলেই মনে করি আপনাদের হিন্দুধর্মে লোকদেখানো পূজার কি মূল্য? একই কিতাবে উল্লেখ আছে “অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা কামনা চরিতার্থ করার জন্য দেবতাদের সরণাপন্ন হয়ে ক্ষনস্থায়ী জড় সুখ কামনা করে। কিন্তু ভগবানের অনুমতি ছাড়া দেব-দেবীরা তাদের ভক্তদের কোন ইচ্ছা পূরন করতে পারে না।”- ভগবত গীতা, অধ্যায়-৭ স্লোক-২০,২২এই যে দেব দেবীর সামনে খাওয়া দেওয়ার নামে মিথ্যাচার করেন শিব লিংয়ে দুধ ঢালা হয় এই অপচয় রোধ করেন না কেন? আপনার ধর্মের প্রতিটি মানুষেই জানে কোন দেব দেবীই খায় না। আপনাদের ধর্ম ব্যবসায়ী পুরোহিতগন মানুষকে ভুল ব্যাখ্যায় প্ররোচিত করে পকেট খালি করছেন ধর্মের দোহাই দিয়ে। সেদিকটা কেন খেয়াল করছেন না?
ভগবদগীতায় চিত্র সহ আরো উল্লেখ আছে গরুর ঘারে মানুষের মাথা আর কসাইয়ের ঘারে গরুর মাথা। আপনিও চিন্তা করবেন এই মহিষগুলি এবং যারা অমানবিক ভাবে কাটছে তাদের কথা। আপনার সরকার এই অমানবিকতা সমর্থন করায় সেই মহিষদের ঘারে আপনাদের উচ্চ পদস্থ লোকদের মাথার চিত্র দেখবেন ভগবানের সামনে গিয়ে।
“ভগবদগীতায় (৬/৮) বলা হয়েছে, জীব মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে যেরূপ স্মরণ করে দেহত্যাগ করে, সে পরবর্তী জন্মে সেরূপ দেহ লাভ করে থাকে। গরুটি কসাই এর রূপ স্মরণ করে দেহত্যাগ করার ফলে, সে পরবর্তীজন্মে মনুষ্যদেহ লাভ করবে এবং গোহত্যার ফলে কসাইটি গরুর দেহ লাভ করবে। যেমন কর্ম, তেমনই ফল।” আপনারা যেভাবে মহিষ হত্যা করছেন আপনার ধর্ম যাজকদের কাছে আমাদের প্রশ্ন কোথায় পেলেন এই নীতি? মহিষআর গরুতে কি পার্থক্য আছে গরু যেহেতু হিন্দুদের মাতা সে সূত্রে মহিষ তো খালা, ফুপু, চাচী, মামীই হবে। মহিষের দুধও আপনারা দই, মিষ্টি, পনিরে খাচ্ছেন। মহিষ প্রানীটির চামরা হাড় ব্যবহারে যাহা বানানো হয়। গরুর চামরা, হাড় দিয়ে একই জিনিষ তৈরী হয়। গোমাতার আপনাদের খেতে বলছিনা আমনাদের গোমাতার চামড়ার জুতা ব্যবহার করে চলছেন সেটা মনে করিয়ে দিতে চেষ্টা করছি।
আপনার সরকারে দৃষ্টি আকর্ষন করছি ছবিগুরির দিকে দেখুন কেমন করে হত্যাজজ্ঞ চলছে।বৌদ্ধ ধর্মে গৌতম বুদ্ধ বলেছেন সর্ব প্রথম “তুমি কোন জীব হত্যা করবে না”। আপনাদের এটা মানতে বলছি না। যার যার ধর্ম নিয়ে থাকতে দিন। এবং এদেশের মুসলমান আপনাকে আমরাও ভোট দিয়েছি আমরা তো বলি দেওয়া মহিষ খেতে পারব না। আপনাদের ভগবান আমাদের আল্লা বলি দেওয়া গোশত খাওয়ার অনুমতি দেয় নাই। আমাদের আল্লা যেটা খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সেটা বাধা দিয়ে আপনার সরকার ধর্মের সাথে বিরোধীতা করছে। এটার জন্য আমার আল্লা আপনার ভগবানরা আপনাদেরই উপর রুষ্ঠ হবেন।
উপরোক্ত উল্লেখকৃত কিতাবের ২০/২২ স্লোকে বলা আছে ভগবানের অনুমতি ছাড়া কোন ইচ্ছাই পূরন হয় না। আপনাদের সে ভগবান আমাদের আল্লা আমাদের গরু খাওয়ার হুকুম দিয়েছেন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে। সেটা থেকে আপনারা কেন বাধা দিচ্ছেন? আমাদের দেশ থেকে যেহেতু অনেক জিনিষই বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে গরুতে কেন নিষেধাজ্ঞা? গোবাবা ছাড়া তো গোমাতা হবে না। গোমাতাই শুধুরক্ষা করলে হবে না গোবাবাদের সমান শ্রদ্ধা করতে হবে। এই ভাবে আপনারা অনড় থাকলে অতি শীঘ্রই গোমাতা/ পিতার জন্যও জন্ম নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
না হয় এই সংখ্যা ঠেকাবেন কি করে? শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলতে হবে। এইগরু পালন করে বাংলাদেশ অনেক মানুষ জীবিকার ব্যবস্থা করছেন। আপনার ধর্মে মানব সেবাই উত্তম। আপনার সরকার মুসলমানদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে মন গড়া আইন ভাঙ্গার অপরাধ করবে। এই আইন ভাঙ্গার জন্য কে দ্বায়ী? ধর্ম রীতিনীতি পালনে বাধা দেওয়ার আইন কোন মতেই সঠিক হতে পারে না। সেদিকে লক্ষ করে আমাদের মত মানুষের দিকে খেয়াল করেন, গরুর চেয়ে মানুষের মূল্য অনেক বেশী! কাজেই অতি সত্ত্বর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন। চিন্তা করুন! আর যদি সত্যিই মানবতা বোধ থেকে থাকে তাহলে যে পরিমান মদ,গাঞ্জা,সিগারেট,ড্রক্স, বিড়ি ইত্যাদি মাদকদ্রব্য সেটা ঠেকিয়ে আমাদের দেশের মানব সন্তানদের মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করুন। মুসলমানদের সামনে কোরবানীর ঈদের কথা চিন্তা করে অতি সত্তর এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে মানব সেবা ইচ্ছার প্রমান দিন। সবশেষে মুসলমানদের বিজ্ঞ পন্ডিত জাকির নায়েকের দৃষ্টি আকর্ষনকরে শেষ করছি। তার দেয়া লেকচার শুনুন। ইতি।।
বিনীত নিবেদক
আপনার প্রিয় দেশবাসীর মদ্যে একজন (জাকারিয়া ইছলাম )
No comments:
Post a Comment